রহস্য
শনিবার কলেজ আসি তারপর থেকে শরীর যে কি পরিমাণ খারাপ যাচ্ছে আল্লাহ জানে একমাত্র,জানালা খোলা ছিল দক্ষিণ দিকে কলেজ টাই সুনশান-নিস্তব্ধ নিরবতা যতদূর চোখ যায় ফাকা মাঠ রাস্তা ফসলি জমি পুকুর আর দুই একটা গাছ চোখে পড়ে,বিশাল একটা জায়গা দেখা যায় সবটাই জনশূন্য, দক্ষিণ পূর্ব দিকে গেলে কিছু বাড়ি ঘর। কলেজ এর পূর্ব সাইডে রেললাইন এর পাশে মোটামুটি বড় একটা পুকুর খাল উর্বর জমি,বড় একটা কড়ই গাছ আছে খুব পুরনো, যাই হোক এইসব ঝোপঝাড় এ জ্বিন আছে। আমি সেদিন ভয় পাই একটা বাঁশির শব্দ দূর থেকে ভেসে আসছিলো,গান শুনছিলাম ফোনে কানে হেডফোন গুঁজে, বাঁশির শব্দ শুনার আগেই একটা কুকুর এসে সামনে দিয়ে যায়,রাস্তায় লাইটের কারছে দেখা যায়, রাত একটা পর্যন্ত পূর্নিমার চাঁদের আলো ঝলমল করে জানালা দিয়ে আসে আমার রুমে।কুকুর যাওয়া সময়টা তিনটা বাজার বিশ মিনিট আগে মানে মাঝরাতে ২টা ৪০ এ হবে তার ঠিক পরপরই কি সুন্দর একটা বাঁশির শব্দ, এই শব্দে আমি গানের কথা ও ভুলে যায় খুব মুগ্ধ হয়ে শুনতেছি,হঠাৎ মনে পড়ে আরে চিনাইর এলাকায় যে বড়ভাই বাঁশি বাজায় সে ত বিদেশে। মূহুর্তে গায়ে কাটা দিয়ে উঠে সেই ভয়টা এখনো আছে তাই এখন পিছন ফিরে লেখতেছি শয্যায় আগেই ঠিক মতন সেট করে নেই,জানালা ঠিক মতন আটকে দিয়ে ভালো করে পর্দা দিয়ে শুয়ে পড়ি।যেই মনে হলো বিদেশ অমনি ভয় পাই তারপর পিছনে তাকায় দেখি কে জানি বসবাস আছে তখন কি জানালা ভেঙে দৌড় দিবো কিছু বুঝতে পারছি না। আমার পাশের বেডে আমার ইয়া বড় কাইল্যা একখান ব্যাগ রাখা, বলা বাহুল্য অলসতায় এইটা এখানে এরপর চোখের আড়াল করা হয় ইহাকে। ভালো মতন জানালা আটকে ঘুমানোর চেষ্টা করছি, কিন্তু গায়ের লোম তখনও খাড়া।কি আর করব ফোন টিপার মতন কোনো শক্তি ও নাই । আমি শুয়ে আছি ত আছি রাত এত বিশাল সময় যাচ্ছে না, তারপর লাস্ট ৪ টা বাজে দেখি টাইম।ভয়ে যখন ঘুম ভাঙ্গলো তখন সাড়ে পাঁচটা বাজে।আবার চোখ বন্ধ করছি এবং হোস্টেলের মেডামের ডাকে চোখ খুলে বের হই ৬ টা ৫ বাজে ঠিক তখন।মেডাম চলে যায় তারপর জানালা খুলি দরজা খুলে আবার ঘুম দিয়ে আটটায় ঘুম থেকে উঠি।এর আগের উঠাতে ভয় + গরম ছিল অনেক। এখানে রাজার হালে আছি আমি, ইলেক্ট্রিসিটি যায় না কখনো। ডেইলি হাফ ঘন্টা ব্রেক করে সন্ধ্যায়,দক্ষিণা বাতাসে সেদিন সকালে ঘুমায়,তারপর থেকে ডেইলি রাতে আমি ঘুমাতেই পারি না সকালে দরজা জানালা খুলে দক্ষিণা বাতাসে ঘুমায়,খানিকটা বাতাসের প্রেমে পড়ে গেছি তাতে কি হবে একটার পরে একটা অসুস্থতা লেগে আছেই।আমি যে কি কষ্ট করে ক্লাসে এটেন করে ফুল ক্লাস করি।ঘুম আসে আরও হরেকরকম ঝামেলা। আরেকটা হেলোসিন সৃষ্টি হলো, কেউ আমার পিছনে বসে আছে ছায়ার মতন ঘুরছে এটাই আমি ডেইলি দেখি ও ভাবি।আচ্ছা পিছনে না থেকে সামনে ত আসতে পারে নাকি প্রেমে পড়ব?
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন