আক্ষেপ
আজ থেকে একশ বছর পূর্বে লেখকেরা দুর্নীতি নিয়ে অনেক বইয়ে লিখে গেছে এই পুরোনো লেখকের বই পড়লে আজকেও বুঝা যায় তখনকার সমাজব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় অবনতির ক্ষেত্রে দুর্নীতি একমাত্র বিরাজমান। দেশ সেখান থেকে একশ বছরে ডিজিটাল হইছে ঠিকই কিছু একটা দুর্নীতি নামক ব্যাধি আজও সমানে আছে। আগেও সরকারের দোষ দিছে এখনো সরকারের দোষ দিছে। কিছু সরকার এর কোনো দোষ নাই, সব দোষ আমাদের। সরকার একটা মানুষ হয়ে দুর্নীতি দমন সহজ না।আমরাই আমাদের সুবিধার জন্য নিজের মতন করে সিস্টেম চালু করে ফেলি।এই আমুল সিস্টেম যদি পরিবর্তন না হয় তাহলে ত দেশ উন্নত হবে না। দেশের লোকের টাকা হয়েছে কারো ক্ষমতা হয়েছে, কিন্তু এইসব ক্ষতিকারক কিছু না। সবকিছুই খারাপ হলেও তারমধ্যে ভালো আছে। ছোট ছোট স্বার্থে দুর্নীতি দমন নিজেদের করতে হবে, আপনি কিছুতেই অসুস্থ সিস্টেম যদি না মানেন তাহলেই হয়েছে। এই ধরেন রেলওয়ে মানুষের দুর্ভোগ। কালোবাজারি দুরাত্মে সাধারণ জনগন অতিষ্ঠ, চোখে কোনো পথ না দেখে আমি আপনি ওদের সাথে দুর্নীতির প্রশয় নেয়। এখন বলবেন কোথায় গেলে এদের রুহতে পারা যায়। আজ থেকে একশ বছর আগেও দেশ স্বাধীন ছিল না, তখন পাকিস্তানি আমলে, ইংরেজ শাসন ব্যবস্থা আমলে অনেক লেখকের কথায় দুর্নীতি ফুটে উঠেছে। এখনো মানুষ কেন কর দিতে ভয় পায়।আয়কর অফিসের নিয়ে কেউ কেন মুখ খুলে না,আপনারা কালা টাকার হিসাব দিতে না পেরে সাদা টাকা বানাইতে ঘুষের আশ্রয় নেন।কিন্তু, কেন?কোথায় গিয়ে থামবে বলতে পারেন? ছাত্র সংগঠন ভালো কিছু কিছু তারা এখনো রাজনীতি চাল বুঝে না।ছাত্রদের বলে মাঠে নামিয়ে ফেলেন রাজনীতিক ঠেলায়।ঘরে ঘরে আজ ছাত্র সমাজ অসুস্থ লীগ করে। দলের দুর্নাম করে নেশা করে। জানা যায় এরাই গডফাদার এর সাথে সম্পৃক্ত। রাজনীতি ছাত্র জীবন থেকে করা সোনালী সময়, এখান থেকে ভালো মন্দ শিখবে কেন তাদের নাম পুড়াতে হবে। জানত আমি অমুক ভাই তমুক ভাই কেন বলবে। এইসব তাদের কোনো অপরাধ না।এই সমাজ আমাদের শিখিছে নিরীহ হলে সিস্টেম এর যাতাকলে কিভাবে পিষ্ট করে মেরে ফেলতে হয়।এই সমাজে চুপ করে থাকলেই মহাবিপদ নেমে আসে। মান সম্মান ইজ্জত নিজের স্বার্থের চিন্তা বাদ দিয়ে নিরীহ মানুষকে চলতে হয়।কোথাও ভয় নাই অথচ অসুস্থ ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তেলা মাথায় তেল দেওয়া কখনও বন্ধ হবে না। সমাজে যে যতবেশি নিজের চেয়ে পরের চরকায় তেল দিতে ব্যস্ত হবে তাদের আমরাই মাথায় তুলে নাশাতে পারি।আমি উচিত কথা বলতে কেন ভয় পান জানেন আপনার আশেপাশের লোক ঝেড়ে ফেলবে।সমাজ আপনার কোনো দোষ না থাকলেও আপনিই সমাজের সবচেয়ে বদ ও খারাপ লোক। কারো কাছে পরোয়া আশা না করে যেই আপনি বাঁচতে চেষ্টা করবেন, আপনাকে ঘর বন্দি করে মেরে ফেলবে। এইসব কথা আমি আজ নতুন বলতেছি ব্যাপারটা এমন না,আমার আগেও বহু লেখকে তাদের কলম বন্দি করে সব লিখে গেছে বই পুঁথিতে।আমি আপনাকে তোমাকে ভালো পথে আনতে পারব না।বলতেও পারবা না তুমি এভাবে চলো ভালো হবে, নীতি নৈতিকতা নিয়ে এমন ভাবে তুমি বলবা আমি এতেই লজ্জিত। তোমার ত দোষ নেই, সব সিস্টেম। ভেঙে ফেলো চলো।আচরণের আমিই কেন বলব এইটা আমাদের ভুল হচ্ছে এসব বলা ত আমার কাজ না।জন্মের পরে বুঝো যে এভাবে নিঃশ্বাস নিতে হয় ফেলতে হয়।কিন্তু কি আর করার।ধীরে ধীরে সিস্টেম যদি পরিবর্তন না করি আমরা পরবর্তী প্রজন্মে অন্ধকার নেমে আসবে আরও। ভালোবাসা সেই একটা হাতিয়ার যেটা দিয়ে পৃথিবীর সব জয় করার স্বপ্ন দেখা যায় কিন্তু সিস্টেম ভেঙে নীতি নৈতিকতার স্বার্থে দুর্নীতি ফুটে করা হয় না। আমারা একেবারে অপরের সহায়তা করে চলতে হয়।সমাজে ত ভিক্ষা ব্যবস্থা একটা ফ্যাশন হয়ে গেলো। জানা যায় এর পেছনে বড় ধরনের হাত রয়েছে। যাদের বলা হয় গ্যাং।
লেখার অংশ হিসেবে নেওয়া 'আক্ষেপ' থেকে
©শোভা
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন